পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রথমবারের মতো নারী বিচারপতি পেতে যাচ্ছে।
৫৫ বছর বয়সি আয়েশা মালিককে গত বছর সেপ্টেম্বরেই দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করেছিল জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তান (জেসিপি)। তবে কমিশনের চার সদস্য তার এই পদোন্নতির পক্ষে সায় দিলেও বাকি চার সদস্য তার বিরুদ্ধে ভোট দেন।
গত বৃহস্পতিবারের ভোটাভোটিতে অবশ্য আয়েশা মালিকের পক্ষেই ভোট পড়েছে বেশি। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের প্রথম নারী বিচারপতি হওয়া থেকে আর মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছেন তিনি।
দেশটিতে বিচারকদের নিয়োগ-পদোন্নতি দেখভালে নিয়োজিত জুডিশিয়াল কমিশন।
বৃহস্পতিবার ৫৫ বছর বয়সী আয়েশা মালিককে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেয়।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর আয়েশা মালিক প্রথম নারী বিচাপতি হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে নিয়োগ পাচ্ছেন।
সে দেশের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই ইনসাফের এমপি এবং আইনসম্পর্কিত পার্লামেন্টারি কমিটির সম্পাদক মালিকা বোখারি এক টুইটে বলেন, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রথম নারী বিচাপতি হিসেবে এক মেধাবী ও খ্যাতিমান বিচারক নিয়োগ পাচ্ছেন, যা আমাদের দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় মুহূর্ত।
হার্ভার্ড আইন স্কুলের স্নাতক করা আয়েশা বর্তমানে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি। এর আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ এবং নজিরবিহীন রায় দিয়েছেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।